শনিবার ১৭ মে ২০২৫ - ১৬:১৩
যুক্তরাষ্ট্র শান্তির নামে ধ্বংস ডেকে এনেছে, ইসরায়েল এই অঞ্চলের ক্যান্সার

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ সাইয়্যেদ আলী খামেনেয়ী আজ তেহরানে শিক্ষকদের সঙ্গে এক বিশেষ বৈঠকে আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। তিনি সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের “শান্তির জন্য শক্তি ব্যবহারের” দাবিকে সরাসরি মিথ্যা আখ্যা দেন এবং যুক্তরাষ্ট্রকে যুদ্ধ ও অস্থিতিশীলতার উৎস হিসেবে বর্ণনা করেন।

হাওজা নিউজ এজেন্সি: আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ী বলেন, “ট্রাম্প বলেছেন, তিনি শক্তি ব্যবহার করবেন শান্তির জন্য; কিন্তু বাস্তবতা হলো, যুক্তরাষ্ট্র সবসময়ই শক্তি ব্যবহার করেছে যুদ্ধ, হত্যা ও দমন-পীড়নের জন্য—বিশেষত গাজা ও লেবাননে। তারা শান্তির নামে ধ্বংস ডেকে এনেছে।”

তিনি আরও বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান নীতিমালা হলো মিত্র রাষ্ট্রগুলোকে এমন নির্ভরতামূলক কাঠামোর মধ্যে আবদ্ধ রাখা, যেখানে তাদের অস্তিত্বই আমেরিকার ওপর নির্ভরশীল। ট্রাম্প নিজেই বলেছিলেন—‘এই দেশগুলো আমেরিকা ছাড়া ১০ দিনও টিকতে পারবে না’। এই মডেলই এখন আবার তাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে।”

আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ী দৃঢ়ভাবে বলেন, “এই অঞ্চল থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে বিদায় নিতে হবে এবং নিতেই হবে। কারণ তাদের উপস্থিতি এই অঞ্চলের জন্য দুর্যোগ বয়ে এনেছে।”

ইসরায়েল নিয়ে বক্তব্য
নিজ বক্তব্যে ইসরায়েল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এই অবৈধ রাষ্ট্রটি হলো একটি বিপজ্জনক ক্যান্সার, যা গোটা অঞ্চলের জন্য হুমকি। একে অবশ্যই মূলোৎপাটন করতে হবে এবং তা হবেই, ইনশাআল্লাহ।”

ইরানের অবস্থান
আয়াতুল্লাহনখামেনেয়ী বলেন, “ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান তার আদর্শ ও মূল্যবোধে অটল থেকেছে। আন্তর্জাতিক নানা চাপে থেকেও আমরা নিজের পথে এগিয়েছি। আজকের ইরান সেই ৩০ কিংবা ৪০ বছর আগের ইরান নয়; আমরা বহুগুণে শক্তিশালী হয়েছি এবং ভবিষ্যতে আরও উন্নত হবো।”

তিনি আরও বলেন, “যুবসমাজই আমাদের ভবিষ্যৎ। তাদের হাত ধরেই আমরা ইসলামি আদর্শে গড়া একটি শক্তিশালী রাষ্ট্র নির্মাণ করব।”

আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ীর এই বক্তব্যকে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা মধ্যপ্রাচ্যের ভূরাজনীতিতে ইরানের কৌশলগত অবস্থানের পুনরায় উচ্চারণ হিসেবে দেখছেন। বিশেষ করে গাজায় চলমান যুদ্ধ, যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকায় বিতর্ক এবং আরব রাষ্ট্রগুলোর ওপর নির্ভরশীলতার ইস্যুতে ইরান আবারও নিজেকে একটি “আদর্শ প্রতিরোধের নেতা” হিসেবে তুলে ধরেছে।

আপনার কমেন্ট

You are replying to: .
captcha